৳ ২৫০ ৳ ২১৩
|
১৫% ছাড়
|
Quantity |
|
৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY
প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়; ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER
মি’রাজ রাসূল সা. এর অন্যতম শ্রেষ্ঠ মু’জিযা। এটি সকল নবীর উপর রাসূল সা. এর মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্বের দলীলও বটে। গ্রহণযোগ্য মতানুসারে এটি নবুয়্যাতের দ্বাদশ সনে সংঘটিত হয়েছিল। তা হয়েছিল স্বশরীরে ও জাগ্রত অবস্থায়। তাই তো মক্কার কাফেররা মি’রাজের ঘটনাকে মেনে নেয়নি; বরং মি’রাজ নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করেছিল। মি’রাজকে কেন্দ্র করে মুরতাদ হয়ে গিয়েছিলো কিছু দূর্বল প্রকৃতির নও মুসলিমও।
অংকের হিসাবের মত হিসেব করে যোগফল মিলিয়ে তারপর মি’রাজে বিশ্বাস স্থাপন করতে চাইলে কিয়ামত পর্যন্ত হিসেব মিলানো যাবেনা। কারণ এটি মু’জিযা। তাই এ বিষয়ে বিশ্বাস হবে আবু বকর রা. এর মত। অর্থাৎ চিন্তাটা এমন হবে যে, আমার রাসূল সা. বলেছেন সুতরাং বিনা প্রশ্নেই মেনে নিলাম। মি’রাজ প্রসঙ্গে বর্ণিত হাদীছ সংখ্যা অগণিত। প্রায় অর্ধশত সাহাবী মি’রাজের হাদীছ বর্ণনা করেছেন। এর কোন কোনটি মুতাওয়াতির পর্যায়ে । অসংখ্য হাদীছ থাকার পরও থেমে নেই জালিয়াতদের জালিয়াতি। তারা মি’রাজ প্রসঙ্গেও অনেকগুলো বানোয়াট কাহিনী তৈরি করে হাদীছের নামে চালিয়ে দিয়েছে। আর এ বানোয়াট কাহিনীগুলো মি’রাজের মূল কাহিনীর চেয়েও বেশি জনশ্রুতি পেয়েছে।
যার ফলশ্রুতিতে মি’রাজের মূল অবয়ব প্রায় লোপ পেতে বসেছে। যেমন-মি’রাজের রাতে রাসূল সা.- এর আরশে আজীম সফর, আরশে জুতা নিয়ে পদার্পণ, এক কদম অগ্রসর হলে জিব্রাইল আ, -এর জ্বলে যাওয়া, সামান্য সময়ের ভীতরে মি’রাজ সংঘটিত হওয়া, মি’রাজ শেষে ফিরে এসে ওজুর পানি গড়াতে দেখা, বিছানা গরম পাওয়া, দরজার কড়া নড়তে দেখা ও ঐরাতে আত্তাহিয়্যাতু লাভ করা ইত্যাদি বানোয়াট গল্প মি’রাজের ঘটনার মূল জায়গা দখল করে ফেলেছে। অথচ এ কাহিনীগুলো কোন দূর্বল হাদীছ দিয়েও সাব্যস্ত নয়। মি’রাজের এ সফরে আল্লাহ তা’আলা প্রিয় রাসূল সা. কে আকাশ জগতে তাঁর সৃষ্টি লীলার অপূর্ব নিদর্শন পরিদর্শন, জান্নাত ও জাহান্নাম স্বচক্ষে দেখিয়ে এবং এরাতে নামাজ ফরজ করার মাধ্যমে মি’রাজের এ সফরকে অন্যরকম প্রাণবন্ত একটি সফর ও উম্মতের জন্য অনেক বড় প্রাপ্তির উপলক্ষ্য করেছেন।
Title | : | মি‘রাজ ও আধুনিক বিজ্ঞান |
Author | : | ড. আবুল কালাম আজাদ (বাশার) |
Publisher | : | আহসান পাবলিকেশন |
Edition | : | 1st Published, 2010 |
Number of Pages | : | 265 |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | Bengali |
কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত চৌদ্দগ্রাম উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে ১৯৭৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মরহুম মাে: আব্দুল হাকিম ও মাতার নাম শাফিয়া বেগম। তিনি গাছবাড়িয়া গাউছিয়া তৈয়্যবিয়া সিনিয়র মাদ্রাসায় শিক্ষা জীবন শুরু করেন। শুরুতে এ মাদ্রাসার হিফজুল কুরআন বিভাগে কিছুদিন অধ্যয়ন করেন। অতপর এ প্রতিষ্ঠান থেকে ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপ্ত করে ছুপুয়া ছফরিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হন। ছফয়া মাদ্রাসা থেকে ১৯৯৫ ইং সনে দাখিল পাশ করে দেশের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কুমিল্লার দেবিদ্বারস্থ ধামতী আলিয়া মাদরাসায় ভর্তি হন। এ মাদ্রাসায় তিনি আলিম, ফাজিল ও কামিল ( হাদীছ ) অধ্যয়ন করেন। অতপর তিনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে বি, এ অনার্স ও মাস্টার্স সমাপ্ত করেন। তারপর ঢাকা পীরজঙ্গী জামেয়া দ্বীনিয়া থেকে দাওরাহ হাদীছ ও সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা-ঢাকা থেকে কামিল ফিকহ সমাপ্ত করেন। অতপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ ডিপার্টমেন্ট থেকে ২০১৩ সনে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন। শিক্ষা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি কৃতিত্বের সাক্ষর রাখেন। ক্লাস ওয়ান থেকে দাখিল পর্যন্ত প্রতিটি ক্লাসে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন। দাখিল থেকে কামিল, দাওরাহ হাদীছ, অনার্স ও মাস্টার্সহ সকল পরিক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হন। ফাজিলে বাের্ড মেধা তালিকায় ৩য়, কামিল হাদীছে ৩য়, ফিকহে ৭ম ও অনার্সে ১৬তম স্থান অর্জন করেন। তাঁর লিখিত “মি'রাজ ও আধুনিক বিজ্ঞান”, “প্রচলিত শিরক ও তা থেকে বাঁচার উপায়” এবং “প্রচলিত বিদ'আত ও তা থেকে বাঁচার উপায়” বই তিনটি পাঠক মহলে যথেষ্ট সাড়া ফেলেছে। কর্মজীবনের শুরুতে তিনি ২০০১ সালের অক্টোবর থেকে ২০০৩ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বিবাড়ীয়া জেলার নবীনগর উপজেলা সদরের নারায়ণপুর ফাজিল মাদরাসায় আরবী প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি ঢাকাস্থ তেজগাঁও মদীনাতুল উলুম কামিল মাদরাসার মুহাদ্দিস হিসেবে কর্মরত আছেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি দ্বীনের দাওয়াতি কাজের ময়দানেও সমান ভাবে অবদান রেখে চলেছেন। তিনি পবিত্র হজ্জ, আন্তর্জাতিক সেমিনার ও ব্যক্তিগত সফর উপলক্ষে সৌদি আরব, আমেরিকা, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, ইন্দোনেশিয়া, মিশর, কাতার, শ্রীলঙ্কা, ভারত ও নেপাল ভ্রমণ করেন। পারিবারিক জীবনে তিনি চার ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের জনক। আমরা তাঁর সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ কামনা করছি।
If you found any incorrect information please report us